রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন-ইপসা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘বিগ টোবাকো টাইনি টার্গেট: বাংলাদেশ’ শীর্ষক জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙামাটি জেলার ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এসব অঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে গড়ে ছয়টি করে তামাক পণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।
জরিপের তথ্য তুলে ধরে ইপসার উপ-পরিচালক নাছিম বানু বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠের পাশের তামাক বিক্রয় কেন্দ্রগুলো শিশু-কিশোরদের ধূমপায়ী তৈরির চেষ্টা করছে।”
৭৭ শতাংশ বিক্রয়কেন্দ্রে শিশুদের চোখের সামনেই তামাকপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
“বিড়ি-সিগারেটের সাথে এসব কেন্দ্রে চকলেট-মিষ্টি ও খেলনা সামগ্রীও বিক্রি করা হয়।”
এসব দোকানে প্যাকেট, স্টিকার, ফেস্টুন ও ছাতার মাধ্যমে কৌশলে তামাকের বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
জরিপে পাওয়া তথ্যের প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাক জাতীয় পণ্যের বিক্রি বন্ধের দাবি তোলা হয়।
একইসাথে এসব বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে একটি শলাকা সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করার দাবিও জানানো হয়।
ইপসা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা-উবিনীগ যৌথভাবে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সংবাদ সম্মেলনে কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডসের ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া এবং অ্যান্টি টোবাকো মিডিয়া জোটের আহ্বায়ক আলমগীর সবুজ উপস্থিত ছিলেন।