চট্টগ্রামে এসিআই লবণ, মোল্লা সল্ট ও সান চিপস ধ্বংস

নিষিদ্ধ ৫২টি পণ্যের কয়েকটি চট্টগ্রামের দুটি দোকানে পাওয়ায় সেগুলো ধ্বংস করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2019, 08:02 PM
Updated : 25 May 2019, 08:02 PM

শনিবার নগরীর কোতোয়ালী, ডবলমুরিং ও হালিশহর থানার বিভিন্ন এলাকায় চারটি তদারকি অভিযান পরিচালিত হয় অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের অধীনে।

অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫২ পণ্যের মধ্যে এসিআই লবণ, মোল্লা লবণ ও সান চিপস পাওয়া যায়।

এরমধ্যে কোতোয়ালী থানার এম এ ট্রেডার্সে ১৩ কেজি এসিআই লবণ এবং ২৩ কেজি মোল্লা লবণ পাওয়া গেলে সেগুলো ধ্বংস করে অধিদপ্তরের অভিযান দল। প্রতিষ্ঠানটিকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নগরীর হালিশহর এলাকার রূপসা ফুড প্রডাক্টস নামের প্রতিষ্ঠানে ৬৫ প্যাকেট নিষিদ্ধ সান চিপস পাওয়ায় সেগুলো ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে ফিরিঙ্গিবাজারের ইয়াকুব নগরে মিষ্টি মেলাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, হাইড্রোজ, অননুমোদিত রং, ফ্লেভার, নকল চেরি ও মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ ব্যবহার করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রাখায় এবং বাসি মিষ্টি রাখায় এই জরিমানা করা হয়। ওই খাদ্য উপকরণগুলো ধ্বংস করা হয়।

অভিযানে হালিশহরে রুবেল সওদাগরের মাংসের দোকানে মাংসে কৃত্রিম রং মেশানোয় এবং মূল্য তালিকা না থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রং মেশানো মাংস ফেলে দেওয়া হয়।

নগরীর ডবলমুরিং থানার ডিটি রোডে আল আমিন হোটেলে অননুমোদিত রং ও হাইড্রোজ ব্যবহার করে জিলাপি ও বুন্দিয়া প্রস্তুত করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নোংরা পরিবেশে ইফতার তৈরি করায় কোতোয়ালী থানার খাজা আজমীর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দিনব্যাপী এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক প্রিয়াংকা দত্ত, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস এবং জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।