সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির চালিকাশক্তি। এর কাজ ভালোভাবে চলছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বন্দরকেন্দ্রিক সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে। বে টার্মিনালের কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে।”
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চারমাস পর চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন সর্ম্পকে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “দায়িত্ব নেওয়ার পর বন্দরে আসার জন্য অনেকেই অনুরোধ করেছেন। আমার বক্তব্য হচ্ছে, এখানে কর্তৃপক্ষ আছে। কাজ করার দায়িত্ব আপনাদের।
“এখানে এসে ঘুরলাম, ফিরলাম, ভূরিভোজ করলাম- এটা কি কাজ? এখানে না এসে যদি দেখি কর্তৃপক্ষ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তাহলে তো ঠিক আছে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কর্ণফুলী, বালু, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদী নিয়ে মহাপরিকল্পনার খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
“এতে দু্ই বছর, তিন বছর, পাঁচ বছর ও দশ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিনের মধ্যে দেখে এই মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। চূড়ান্ত অনুমোদন হলে অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ কার্যক্রম শুরু হবে। সবশেষে দূষণমুক্ত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, কর্ণফুলীসহ দেশের নদীগুলোর দুই পাড় একদিনে দখল হয়নি। একশ বছর ধরে দখল হচ্ছে।
“বিদ্যুৎ প্ল্যান্টও বসে গেছে নদীর পাড়ে। বিদ্যুৎ প্ল্যান্টও তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীতে মহাবিপর্যয় হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিটা হয়ে গেছে সে সময়।”
মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী বন্দরের মূল জেটিগুলো ঘুরে দেখেন। এরপর পতেঙ্গায় নির্মাণাধীন কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম দেখেন।