বুধবার নগরীর বগদ্দারহাট এলাকার জামান হোটেলকে এই জরিমানা করা হয়।
এছাড়া বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আট প্রতিষ্ঠানকে মোট এক লাখ ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান জানান।
তিনি বলেন, জিলাপি বানাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক হাইড্রোজ ব্যবহার, ইফতার সামগ্রী সংরক্ষণে ছাপা সংবাদপত্র ব্যবহার, পোকাসহ বেগুনি তৈরির দায়ে বহাদ্দারহাটের হোটেল জামান অ্যান্ড বিরানি হাউসকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় ওই হোটেলে বানানো ১০ কেজি জিলাপি ধ্বংস করা হয়।
হাইড্রোজ এক ধরনের প্রিজারভেটিভ, যা ব্যবহার করলে জিলাপি দেখতে সুন্দর হয়। কিন্তু এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে আসছেন।
অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ইপিজেড থানার নেভি হাসপাতাল গেইট এলাকার কাঁচাবাজারে গরুর মাংসের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় এবং ওজনে কম দেওয়ায় তিনটি দোকানকে নয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ইফতার সামগ্রীতে ক্ষতিকর রঙ ব্যবহার করায় ওই এলাকার জাহানারা হোটেলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অনুমোদন ছাড়া দই উৎপাদন করায় একটি বেকারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রঙ ও হাইড্রোজ ব্যবহার করে জিলাপি বানানোয় জান্নাত বেকারিকে ২০ হাজার টাকা এবং চান্দগাঁও এলাকার লাকি ঝাল বিতানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এপিবিএন সদস্যদের সহযোগিতায় পরিচালিত এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক প্রিয়াংকা দত্ত, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস।