রাস্তা খোড়াখুড়ি: সমন্বয় না থাকায় চট্টগ্রামের মেয়রের অসন্তোষ

চট্টগ্রামজুড়ে রাস্তা খোড়াখুড়িতে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ওয়াসার কাজের সমন্বয় না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2019, 03:11 PM
Updated : 15 May 2019, 03:11 PM

বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের এক জরুরি সভায় ওয়াসার সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি ২০ রোজার পর থেকে ঈদ পর্যন্ত বন্দরনগরীতে সড়ক খোড়াখুড়ি বন্ধ রাখতে ওয়াসাসহ সব সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

সভায় মেয়র বলেন, “নগর জুড়ে ওয়াসার খোড়াখুড়ি চলছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাথে ওয়াসার কোন সমন্বয় নেই। সিটি করপোরেশন নতুন রাস্তা করে যাওয়ার পর আবার খুড়ে পুরো রাস্তা নষ্ট করে দেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। ফলে নগরবাসীকে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।”

রোজার মাসে এ ভোগান্তির জন্য নগরবাসী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে ‘দোষারোপ’ করছে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, “বিষয়টি জনগুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসা যেসব সড়কে খোড়াখুড়ি চালাচ্ছে, শনিবার থেকে সেখানে ফেইস ওয়ার্ক (উপরিভাগের মেরামত) শুরু করতে হবে।”

নাছির বলেন, রাস্তা কাটতে হলে ওয়াসাকে ২০ রোজার আগেই তা শেষ করতে হবে। এরপর আর কোনো রাস্তা কাটতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসাকে দাপ্তরিকভাবে জানানো হবে।

মেয়র বলেন, নগরীর কোন কোন সড়কে ওয়াসা কাটবে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিয়মিতভাবে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগে জমা দিতে হবে।

সম্প্রতি নগরীর প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সড়কে খোড়াখুড়ি শুরু করেছে ওয়াসা। কোথাও লাইন মেরামত, কোথাও পানি সরবরাহ লাইন পরিবর্তন এবং বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এসব সড়ক কাটা হচ্ছে।

নগরীর হালিশহর, সদরঘাট, আন্দরকিল্লা, জামালখান, লাভ লেইন, এনায়েত বাজার, নিউ মার্কেট, কে সি দে রোড, সিনেমা প্যালেস, ওয়াসার মোড়, গরিবুল্লাহ শাহ হাউজিং, কুয়াইশসহ বিভিন্ন সড়ক কেটে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ সড়ক কয়েক মাস আগে কার্পেটিং করা।

সড়কের কাটা অংশে কাজ শেষে মাটি দিয়ে ভরাট করেই দায় সারে ওয়াসা। এসব অংশে ইট-মাটি উঁচু-নিচু হয়ে আছে। পাশাপাশি নগরীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সিটি করপোরেশনের অধীনে উন্নয়ন প্রকল্প চলমান থাকায় নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে।

বুধবারের সভায় মেয়র নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, পোর্ট কানেকটিং সড়ক, বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক, আরাকান সড়ক এবং ব্যাপারী পাড়া সংলগ্ন সড়কসহ ইতোমধ্যে টেন্ডার হওয়া প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে প্রকৌশলীদের তাগাদা দেন।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দেহা, প্রধান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন।