বুধবার বিকালে নিহত জামাল উদ্দিনের ছোট ভাই জুয়েল হোসেন কর্ণফুলী থানায় মামলাটি করেছেন বলে জানান ওসি আলমগীর মাহমুদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি বলেন, নির্দিষ্ট কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার থেকে গাজীপুরমুখী শ্যামলী পরিবহন-এনআরের একটি যাত্রীবাহী বাস পটিয়া থানাধীন শান্তিরহাট এলাকা অতিক্রম করার পর একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে সাদা মাইক্রোবাসে সাদা পোশাকে থাকা একদল লোক নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গাড়ি থামায় এবং ইয়াবা আছে বলে তল্লাশি চালায়।
শ্যামলী পরিবহনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবস্থাপক বাবুল আহমেদ বাসটির সুপারভাইজারের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, হ্যান্ডকাফ, ওয়্যারলেস সেটসহ গাড়িতে ওঠা ডিবি পরিচয়ধারী লোকগুলো তল্লাশির এক পর্যায়ে গাড়ির চালক জামাল উদ্দিনকে (৪৩) বাস থেকে নামিয়ে অদূরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং ইয়াবা কোথায় আছে তা জানতে চায়।
“সে বাসে ইয়াবা নেই জানালে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। কয়েকদফা নির্যাতনের পর তাকে আধমরা করে বাসে তুলে দিয়ে সাদা মাইক্রোবাসটি চলে যায়। পরবর্তীতে শ্যামলীর চট্টগ্রাম কাউন্টার থেকে বিকল্প একজন চালক পাঠিয়ে বাসটি গুরুতর আহত চালককে নিয়ে চমেক হাসপাতালে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
মঙ্গলবার ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগর পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো অভিযান সোমবার রাতে হয়নি বলে দাবি করেছিল।
নিহত জালাল উদ্দিনের বাড়ি দিনাজপুরে এবং তার বাবার নাম আফজাল হোসেন।
এদিকে চালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও সংশ্লিষ্ট ১৯ রুট এবং চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কসহ সংশ্লিষ্ট ৬৮টি রুটে এ ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটি।