রোববার নদীর ছত্তারঘাট সেতু এলাকা থেকে উজানে মেখল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ক’দিনে নদীতে একটি বাচ্চা ডলফিন ও একটি বড় মা মাছ মারা গেছে।
“নদীতে মার্চ থেকে জুলাই ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নদীতে এখন ড্রেজার নেই। আমাদের অনুরোধে বাঁধের কাজে সেনাবাহিনী তাদের নৌযান চালানো বন্ধ রেখেছে। অভিযানে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে আজ বালু উত্তোলনকারী চারটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা পাওয়া গেছে।”
তিনি বলেন, “নদী থেকে বালু উত্তোলনও নিষিদ্ধ। এর আগে বহুবার জরিমানা করা হয়েছে। অনেক বোঝানো হয়েছে। নদী রক্ষায় আজ চারটি নৌযানের ইঞ্জিন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানের সময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার ফোন করে খবর নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “হালদা রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিক।”
সবশেষ গত ১৬ এপ্রিল বিকালে হালদা নদীর মদুনাঘাট সেতুসংলগ্ন এলাকায় ছয়-সাত মাস বয়সী একটি মৃত ডলফিন ভেসে ওঠে। ডলফিনটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
৯ এপ্রিল হালদা নদীর হাটহাজারী অংশের খলিফাঘোনা এলাকায় প্রায় আট কেজি ওজনের মৃত মৃগেল মাছ ভেসে ওঠে। ওই মা মাছের শরীরেও আঘাতে চিহ্ন ছিল।
এরও আগে ৪ মার্চ নদীর রাউজান উপজেলার অংকুরীঘোনা এলাকায় ১২ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ এবং হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মার্দাশা আমতোয়া এলাকায় তিন কেজি ওজনের আইড় মাছ মারা যায়। দুটি মাছের শরীরেও আঘাতের চিহ্ন ছিল।
হালদায় গত বছরের শুরুতে ড্রেজারের আঘাতে তিন মাসে ১৬টি ডলফিন মারা যাওয়ার পর নদীর বালুমহালগুলো আর ইজারা দেয়নি জেলা প্রশাসন।
এরপর গত ১৬ এপ্রিল আবারও হালদায় মৃত ডলফিন পাওয়া যায়।