বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে বিপ্লবী দলের নেতা মাস্টারদা সূর্য সেনের আবক্ষ মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখা এবং বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার পরিষদ।
সেখানে যুব ইউনিয়নের আয়োজনে সংক্ষিপ্ত সমাবশে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ থেকে পাঠ্যপুস্তকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা এবং বন্দর নগরীর প্রধান সড়কগুলো মাস্টারদা সূর্যসেন, বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, তারকেশ্বর দস্তিদারসহ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নায়কদের নামে নামরকরণের দাবি জানানো হয়।
চট্টগ্রাম জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি রিপায়ন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শিকদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে যুব ইউনিয়নের নেতা শ্যামল লোধ, সুনন্দন সিকদার, রুপম কান্তি ধর, টুটুন দাশ, রাশিদুল সামির, বিপ্লব দাশ, জুয়েল বড়ুয়া, রবি শংকর সেন, মিঠুন বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।
এরপর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ।
বিকেলে সূর্য সেনের আবক্ষ মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় চট্টগ্রাম বিপ্লব ও বিপ্লবী স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম বিপ্লব ও বিপ্লবী স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক আলমগীর সবুজ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক শওকত বাঙালি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম ও প্রীতম দাশ, রিডার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দীন কাদের চৌধুরী লাভলু শফিউল আজম প্রমুখ।
এদিকে সন্ধ্যায় নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড় এলাকায় সুপ্রভাত স্টুডিও হলে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদ চট্টগ্রাম।
সভায় বক্তব্য রাখেন পরিষদের সভাপতি শিক্ষক অঞ্জন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সিঞ্চন ভৌমিক ও অর্থ সম্পাদক তপন ভট্টাচার্য্যসহ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ হয়।
নগরীর দামপাড়া এলাকায় তৎকালীন পুলিশ ব্যারাকের অস্ত্রাগার দখল করে নেন বিপ্লবীরা। সেখানেই অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরপর চারদিন স্বাধীন ছিল চট্টগ্রাম। পরে ২২ এপ্রিল জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তিন ঘণ্টার সেই যুদ্ধে ৮২ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয় এবং ১২ জন বিপ্লবী শহীদ হন।