বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে শাহাদাত হোসেন মৃধা (২২) নামের ওই যুবকের পিঠে ছুরি মারা হয়।
নিহত শাহাদাত হামজারবাগ ব্যাংক কলোনি এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে।
হিলভিউ আবাসিক এলাকার তিন নম্বর সড়কের বাসিন্দা একজন বন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন শাহাদাত। পাশাপাশি তিনি গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণও দিতেন।
তাকে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ফরহাদ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শাহাদাতের বাবা আবদুল হালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় এসে আবার কর্মস্থলে ফেরার পথে আক্রান্ত হন তার ছেলে।
শাহাদাতের বোন হাফিজা আক্তার বলেন, “আমাদের বাসা থেকে হেঁটেই সেখানে (তিন নম্বর রোড) যাওয়া যায়। বাসায় আমি একা ছিলাম। আব্বা দোকানে এবং মা অফিসে ছিল।
“এক নম্বর রোডের কুলিং কর্নারের (খাবারের দোকান) কাছে পৌঁছালে স্থানীয় বখাটে ফরহাদ আমার ভাইয়ের পিঠে ছুরি মারে বলে এলাকার লোকজন বলেছে। খবর পেয়ে দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখি ভাই রাস্তার উপর পড়ে আছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শাহাদাতের কয়েকজন বন্ধু বলেছেন, ওই এলাকার একটি কুলিং কর্নারে কাছে তার সঙ্গে ফরহাদের কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার পর ফরহাদ ছুরি নিয়ে শাহাদাতের ওপর হামলা করে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক শীলব্রত বড়ুয়া জানান, শাহাদাতকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বায়েজিদ থানার ওসি আতাউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাতে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।