স্বামীর কাছে হাতেখড়ি নিয়ে জালনোটের কারবারে

স্বামীর কাছ থেকে ব্যবসা শিখে নিজেই এখন জালনোটের কারবারি। কুমিল্লা থেকে জালনোট সংগ্রহ করে বিক্রি করেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায়।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2019, 12:05 PM
Updated : 17 April 2019, 12:08 PM

চট্টগ্রাম নগরীর স্টেশন রোড এলাকা থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকার জাল নোটসহ দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর কুমিল্লায় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জালনোটের জোগানদাতাকেও। 

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- স্বপ্না বেগম ওরফে তানিয়া (৩০), মো. শামীম (২১) ও ফেরদৌসী বেগম (৫২)।

পুলিশ জানায়, তানিয়ার সাবেক স্বামী মনির হোসেনও জাল টাকার কারবারি। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় মামলা আছে। তানিয়া মনিরের কাছ থেকেই এই ব্যবসা আয়ত্ত করেছেন।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন এলাকায় জাল টাকাগুলো নিয়ে অবস্থান করছিলেন তানিয়া ও শামীম।

“রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি রেল স্টেশনের দুই নম্বর গেইটে গেলে তারা সেখান থেকে সটকে পড়ার চেষ্টা করে। এসময় তাদের আটক করে তল্লাশি করে জালনোট উদ্ধার করা হয়।”

পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন বলেন, তানিয়ার ভ্যানেটি ব্যাগে এক হাজার টাকার ১০০টি জালনোট উদ্ধার করা হয়। যেগুলোতে ‘খ ল ৪৮৬০২৩০’ নম্বর দেওয়া আছে।

আর শামীমের প্যান্টের পকেটে একই নম্বরের ৩৫টি নোট পাওয়া যায়।

ওসি মহসিন বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে কুমিল্লা সদর এলাকার ফেরদৌসির কাছ থেকে এসব জালনোট সংগ্রহ করে। পরে তাদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার দক্ষিণ চার্থা এলাকা থেকে ফেরদৌসিকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

তানিয়া ও ফেরদৌসি দীর্ঘদিন ধরে এ কাজে জড়িত উল্লেখ করে ওসি বলেন, তানিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর, কুমিল্লার বুড়িচং ও বাঙ্গরা থানায় তিনটি মামলা আছে।

আর ফেরদৌসির বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতোয়ালী, সদর দক্ষিণ, চান্দিনা ও কক্সবাজার সদর থানায় চারটি মামলা আছে।  

কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তানিয়ার সাবেক স্বামী মনির হোসেন ছিলেন জাল টাকার কারবারি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তানিয়ার বাড়ি হলেও থাকেন সীতাকুণ্ডের মাদামবিবির হাট এলাকায়।

তিনজনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-অ (ই) ধারায় মামলা করা হয়েছে।