চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ধূমপান আর চলবে না: মেয়র নাছির

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আগামী এক বছরের মধ্যে জনসমাগমস্থলে প্রকাশ্যে ধূমপান করতে আর দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2019, 02:07 PM
Updated : 15 April 2019, 02:07 PM

সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘সকলের অংশগ্রহণে নিশ্চিত হোক তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম নগরী’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক প্রচারভিযানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মেয়র নাছির বলেন, “চট্টগ্রাম শহরের কোথাও প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দিব না। নির্দিষ্ট জায়গা ব্যতিত ধূমপান করা যাবে না। এটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই করব। ধরেন আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করব।

“বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা ও পরিচিত নানা কারণে এখন আন্তর্জাতিক মানের। এটা করতে পারলে শুধু দেশের নয় চট্টগ্রামের পরিচিতিও সারা বিশ্বে বাড়বে।”

এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে নগরীতে ধূমপানে আগ্রহীর সংখ্যা কমে যাবে বলেও আশাবাদ মেয়রের।

অনুষ্ঠানে মেয়র ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কোনো পান-সিগারেটের দোকান থাকবে না।

সিটি করপোরেশন পরিচালিত স্কুল-কলেজের একশ গজের মধ্যে সব পান-সিগারেটের দোকান বন্ধ করে দেবেন বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

নাছির বলেন, “এ শহর থেকে আমি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেছি, এটাও পারব। আমি পান-সিগারেট খাই না, এই নৈতিক শক্তি আমার আছে।”

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, কিশোর-তরুণদের নিরাপদ রাখতে পারলে জাতি এই অভিশাপ থেকে রক্ষা পাবে। প্রত্যেক অফিস ধূমপানমুক্ত রাখতে হবে। টাকার বিনিময়ে ধূমপান করার জন্য নগরীর বিভিন্ন স্থানে স্মোকিং জোন করা যেতে পারে।

বেসরকারি সংস্থা বিটা, ক্যাব ও ইলমা’র যৌথ আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল ‘ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস’।

অনুষ্ঠানে বিটা’র নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্ত বলেন, আইনে আছে স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিনশ গজের মধ্যে কোনো তামাক বিক্রয় কেন্দ্র থাকবে না। আশা করি, তিন মাসের মধ্যে এটা বাস্তবায়ন হবে।

“চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউর বারান্দায় দাঁড়িয়ে দর্শনার্থীরা ধূমপান করেন। যেখানে মানুষ সেবা নিতে যায়, সেখানে এই হলো পরিস্থিতি। চট্টগ্রাম রেল স্টেশন, আদালত ভবন ও চমেক হাসপাতাল আমরা তামাকমুক্ত রাখতে চাই।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্লুমবার্গ ইনিশেয়েটিভ অনুসারে বিশ্বের যে ২০টি শহরে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তারমধ্যে চট্টগ্রাম একটি।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম শহরের তামাক বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকের বিজ্ঞাপন, প্রণোদনা ও প্রদর্শনী অবস্থা নিরূপণ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন বিটা’র টিম লিডার প্রদীপ আচার্য।

বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিটিভ ড. শরিফুল আলম এবং ক্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি নাজের হোসাইন।