পুত্রবধূকে বাঁচাতে এগিয়ে যাওয়া ওই বাড়ির কর্তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তিনি এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার গভীর রাতে উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের মহানগর গ্রামে এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এলাকার দুই ‘বখাটেকে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ভুজপুর থানার ওসি শেখ মো. আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন।
নিহত মামণি দে (২৪) ওই গ্রামের প্রবাসী রূপন দের স্ত্রী। দেড় বছরের এক মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকতেন তিনি।
নিহতের চাচাত ভাই ইন্দ্রজিৎ ধর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিন যুবক রাত সাড়ে ১২টার দিকে মামনির ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ইন্দ্রজিৎ জানান, মামনির চিৎকারে শ্বশুর-শশুড়ি তাদের রুম থেকে বের হয়ে আসেন। এ সময় ওই যুবকরা ছোরা বের করলে শাশুড়ি মামনির দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে জানালা খুলে চিৎকার করতে থাকেন।
আর শ্বশুর মিলন দে তাদের প্রতিরোধ করতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে জানান তিনি।
সীমানা দেয়াল টপকে ছাদ দিয়ে ওই যুবকরা বাড়িতে ঢুকেছে বলে মামনির শ্বাশুড়ির ধারণা।
ভুজপুরের ওসি শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, “ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে আমরা দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শাশুড়ি তাদের শনাক্ত করেছেন।”
গ্রেপ্তার সানি ও জয় ওই এলাকার বাসিন্দা। তারা এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
নিহতের স্বামী রূপনের চাচাত ভাই অঞ্জন দে জানান, মামনির ঘরের আলমারির দরজা খোলা। তার গলার চেইনও নেই।