চট্টগ্রামে ‘চাঁদা না পেয়ে’ ড্রিল মেশিনে পা ফুটো করার অভিযোগ

চট্টগ্রামে ‘চাঁদা না দেওয়ায়’ ড্রিল মেশিন দিয়ে এক যুবকের পা ফুটো করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2019, 04:21 PM
Updated : 5 April 2019, 04:21 PM

বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানার হাদু মাঝি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আমজাদ হোসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আমির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমজাদকে লোহার পাইপ দিয়ে মারা হয়েছে। তাছাড়া তার হাঁটুর নিচে দুটো ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।”

২৪ বছর বয়সী আমজাদ চট্টগ্রাম শহরের এক কিলোমিটার এলাকার একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন। তার বাবা মো. নুরুল আজিম হাদু মাঝি পাড়া এলাকায় মুরগির ব্যবসা করেন।

আমজাদের অভিযোগ, তার বাবার মুরগির দোকান থেকে চাঁদা না পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তার বাবা ও ভাই আরাফাতও হামলার শিকার হয়েছেন।  

তবে চান্দগাঁও থানা পুলিশ বলছে, খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে আমজাদের ওপর হামলা হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা এখনও হয়নি।    

আহত আমজাদ হাসপাতালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাস্তার পাশে জায়গা ভাড়া নিয়ে আমার আব্বা ও ভাই একটা মুরগির দোকান চালায়। এক মাস আগে ওই দোকান থেকে জালাল, মিল্লাত, দিদারসহ এলাকার কয়েকজন চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তারা দোকানে ভাংচুর করে।”

আমজাদ বলেন, ওই হামলার ঘটনা নিয়ে তারা থানায় অভিযোগ করেছিলেন। আর তাতেই ওই বখাটেরা ক্ষেপে যায়।

“গতকাল রাতে আমি একটা অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফিরছিলাম। তখন ৭-৮ জন এসে আমার অটোরিকশা আটকে ফেলে। তারা আমাকে নামিয়ে মারধর করে। তারপর আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে বাবাকে ফোন দেয়।

“তখন আমার বাবা এলে তারা চাঁদার টাকা দিতে বলে। কিন্তু বাবার কাছে তো টাকা ছিল না। তখন তারা ড্রিল মেশিন দিয়ে আমার দুই পায়ে ফুটো করে দেয়।”

তখন বাধা দিতে গিয়ে আমজাদের বাবা নুরুল আজিম ও ভাই আরাফাতও মারধরের শিকার হন। পরে টহল পুলিশ হাজির হলে হামলাকারীরা চলে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বশর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা বিষয়টি আমাদের জানিয়েছিল। আমরা মামলা করতে বলেছি। ওটা খেলা নিয়ে মারামারি।”

ড্রিল মেশিন দিয়ে পা ফুটো করার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমি বিস্তারিত কিছু শুনিনি।”