বুধবার নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার মো. আরমান হোসেন (২৬) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুর ছোট ভাই। আরমান ওই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকালে চান্দগাঁও এলাকা থেকে আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।
২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দিয়াজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকও ছিলেন।
দিয়াজের পরিবার ও তার অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা শুরু থেকেই ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে দাবি করে আসছিল।
লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেলের চিকিৎসকদের দেওয়া প্রথম ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়। তার ভিত্তিতে হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলাও করে পুলিশ।
তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন।
তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন ও ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
দিয়াজের মায়ের আপত্তিতে আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলে। দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা। ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই দেওয়া প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা দিয়াজের শরীরে হত্যার আলামত পাওয়ার কথা জানান।
নিহত দিয়াজ ও এই মামলার আসামিরা সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী।
এই মামলায় সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনও গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন।