মুসলিম স্কুলের ছাত্র অপহরণের ঘটনায় আরেকজন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্র অপহরণের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2019, 12:50 PM
Updated : 18 March 2019, 12:50 PM

নগরীর বাকলিয়া থানার মাস্টারপুল খেজুরতলী এলাকা থেকে রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জসীমের (২৬) বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার এলাকায়। চট্টগ্রামে তিনি রেন্ট-এ-কারের ব্যবসা করেন। থাকেন মাস্টারপুল খেজুরতলা এলাকায়।

গ্রেপ্তার জসীম সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে জবানবন্দি দিয়ে অপহরণে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান কোতোয়ালী থানার পরিদশর্ক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান।

গত ২৪ জানুয়ারি নগরীর সরকারি মুসলিম হাই স্কুল থেকে অপহরণ করা হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সাইফুল ইসলাম শামীদ। অপহরণকারীরা পরে তার ব্যবসায়ী বাবার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

পরে পুলিশী তৎপরাতায় দুই ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা হয় শামিদকে। এই ঘটনার প্রায় ১২ দিন পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ শামীদদের পারিবারিক গাড়ির চালক সাইফুল ইসলাম স্বপনকে তার এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে স্বপন তার পরিকল্পনায় শিশু শামীদকে অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে।     

পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ অপহরণের সাথে মোট চারজন জড়িত ছিল। অপহরণে ব্যবহার করা গাড়িটি সরবরাহ করেছিল জসীম এবং সে সরাসরি অপহরণের সাথে জড়িত ছিল।”

কামরুজ্জামান বলেন, “জবানবন্দিতে জসীম জানিয়েছে অপহরণের আগের দিন শামীদদের গাড়িচালক স্বপন সিনেমা প্যালেস এলাকায় তার সাথে শামীদকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আসেন। মুক্তিপণের টাকা পেয়ে তার গাড়ি ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ারও কথা ছিল।

“ঘটনার দিন গাড়ি চালক স্বপন শামীদের মাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে আসতে দেরি হবে বুঝতে পেরে সে জসীমকে ফোনে জানায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী জসীম গিয়ে শামীদকে তাদের গাড়ি চালক আসবে না বলে তার সাথে যাওয়ার জন্য বলে।”

গাড়িতে জসীম ছাড়াও আরেকজন ছিল জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, “ঘটনার দিন শামীদকে গাড়িতে তুলে আন্দরকিল্লা হয়ে সাবেরিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িতে জসীম শামীদের গলায় চাকু ধরে ভয় দেখিয়েছিল। আর গাড়িতে থাকা অপর ব্যক্তি শামীদের বাবা শামসুল ইসলামকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে।”

অপহরণে জড়িত চতুর্থ জনকে ধরতে পুলিশ অভিযান করছে বলে জনান কামরুজ্জামান।