‘প্রতারকরা’ যেন রিহ্যাবের সদস্য না হয়: ভূমিমন্ত্রী

কোনো প্রতারক যেন আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সদস্য থাকতে না পারে সে বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2019, 11:01 AM
Updated : 14 March 2019, 11:01 AM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের র‌্যাডিসন ব্লু বে ভিউ হোটেলে চার দিনব্যাপী রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) দ্বাদশ বারের মত চট্টগ্রামে এই মেলার আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “প্রত্যেক ব্যবসায় ভালো-মন্দ আছে। এই খাতে কিছু কিছু প্রতারক ডেভলপারের কারণে সাধারণ ক্রেতারা খুব ভোগান্তিতে পড়েন।”

রিহ্যাবের সদস্যদের বিষয়ে ‘শক্ত পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ’ রাখা উচিত বলে মনে করেন মন্ত্রী।  

তিনি বলেন, “সবাই দাবি করে আমরা রিহ্যাব সদস্য। কোনো রিহ্যাব সদস্য প্রতারণায় যুক্ত থাকতে পারবে না।

“অভিযোগ পেলে অবশ্যই আপনারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন, সদস্য থাকতে পারবে না।”

আবাসন ব্যবসার ভাবমূর্তি রক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন,  “যে কোনো ব্যবসায় ইমেজ খুব গুরুত্বপূর্ণ।

“অনেকেরই সারা জীবনের সঞ্চয়। হয়তো সৎ লোক, সারাজীবন কষ্ট করেছে। অবসরে যাবেন বা অবসরে যাচ্ছেন, তার আগেই চিন্তা করেন একটা বাসস্থান যদি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য করে যেতে পারেন।”

“এরকম সময় অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়ে সারাজীবনের সঞ্চয় হারান যা কারো জন্যই মঙ্গলজনক নয়,” বলেন মন্ত্রী।

রিহ্যাব নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “একটা ভিজিল্যান্স টিম করেন যারা প্রতিনিয়ত মনিটর করবে।”

এসময় মঞ্চে থাকা রিহ্যাব নেতারা মন্ত্রীকে জানান, কোনো ধরনের অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রিহ্যাবের একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে।

জবাবে মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, স্ট্যান্ডিং কমিটি সক্রিয় থাকতে হবে।

“কমিটি যদি শুধু সিটিং-মিটিং-ইটিংয়ে ব্যস্ত থাকে তাহলে হবে না। মাঠ পর্যায়ে একটা টিম রাখা উচিত। যারা নিয়মিত সব মনিটর করবে।”

আবাসন মানুষের মূল চাহিদার একটি উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের ব্যবসা আগামী ১০ বছরে আরো সম্প্রসারিত হবে।

“সুতরাং শৃঙ্খলা রাখতে যদি না পারেন আপনাদের জন্যও খারাপ হবে এবং ক্রেতাদের জন্যও। আশা করি এটা দেখবেন।”

অনুষ্ঠানে রিহ্যাব নেতারা জমির উচ্চমূল্য ও জমির স্বল্পতার কারণে ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও কম মূল্যে ফ্ল্যাট বিক্রি সম্ভব হয় না বলে জানান।

পাশাপাশি ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য সরকারি জমি বরাদ্দ দেওয়ারও দাবি তোলেন।

পরে ভূমিমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বে ট্রেন্ড এখন সাশ্রয়ী আবাসন।

“আপনাদের টার্ন ওভার চিন্তা করতে হবে। যত বেশি বিক্রি করতে পারবেন। কম লাভ এবং পরিমাণে বেশি। জমির দাম এখন অনেক কারেকশন হয়েছে।”

এসময় টোকিও, হংকং এবং সিঙ্গাপুরের উদাহরণ টেনে ‘মাইক্রো হাউজিং’ করার বিষয়ে ভাবতে বলেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর সামশুল আলামীন কাজল, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল মাহমুদ।

উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব পরিচালক মো. শাকিল কামাল চৌধুরী, প্রকৌশলী মো. দিদারুল হক চৌধুরী এবং মাহবুব সোবহান জালাল তানভীর।