শনিবার দেওয়া এই বিবৃতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সর্বোচ্চ পর্ষদ সিনেটের এই আট নির্বাচিত প্রতিনিধি উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর এই পদক্ষেপকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ বলেছেন।
এই শিক্ষকরা হলেন- নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দিন, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অলক পাল, আইন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক এস এস মনিরুল হাসান, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর, লোকপ্রশাসনের অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল।
উপাচার্যের এই পদক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
“এ বিষয়ে সংবাদপত্রগুলোতে সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে খোদ ভিসির এ পদ গ্রহণ করাকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ উভয়ের জন্য সম্মানজনক নয়।”
উপাচার্য প্রকারান্তরে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’-এর মর্যাদা ও সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন এবং এ চেয়ারে বসার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, “‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে নিয়োগের প্রধান দুটি শর্তই (একাধারে ২০ বছর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানের কমপক্ষে ১০ টি প্রবন্ধ/নিবন্ধ প্রকাশ করা) কিন্তু বর্তমান উপাচার্য পূরণ করেনি।
“পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ধারা ২৬ (এন) অনুযায়ী যে কোনো গবেষণা সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ প্রয়োজন। অথচ এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি।”
এ পদে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি-নির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন আবশ্যক তা নেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধিরা।
তারা বলছেন, শুধু ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ নিয়োগের নীতিমালা গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন করা হয় এবং সেখানেও নিয়ম-নীতি ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার কারণে দুজন সিন্ডিকেট সদস্য ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) দেন। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
বিবৃতিতে এই চেয়ারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিতর্ক ও ‘বিব্রতকর পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে তা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।