চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ জিম্মি

ঢাকা থেকে দুবাই যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানের একটি ফ্লাইট জিম্মিদশায় পড়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক ও চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2019, 12:40 PM
Updated : 24 Feb 2019, 01:21 PM

শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে রোববার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে এটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে নামার পর জিম্মিদশায় পড়ে।

বিকালে আকস্মিকভাবে শাহ আমানতে নিরাপত্তাকর্মীরা বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি ঘিরে ফেললে এবং বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে দেখা দেয় উৎকণ্ঠা।

তখন বিমানের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজকে ফোন করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিজি-১৪৭ এখন চট্টগ্রামে আছে … আমি অনেক কথাই শুনছি। নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।”

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম নাঈম হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন বড় ব্যস্ততার মধ্যে আছি, কথা বলার সময় নেই।”

এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় শাহ আমানতে বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মাহফুজুল আলম বলেন, “বিমানটি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে, এ মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না।”

এর ১৫ মিনিট পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যতটুকু জানা গেছে, একজন সন্দেহভাজন পাইলটের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিল। তবে সব যাত্রী নেমে গেছে। পাইলটও নেমে গেছে।”

তিনি বলেন, “এটা নিশ্চিত যে একজন সন্দেহভাজন বিমনটির ভেতরে এখনও অবস্থান করছে।  

প্রকৃত ঘটনা কী, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি আকমল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর একজন যাত্রী ককপিটে ঢুকে পাইলটকে পিস্তল ধরে বলেছে, আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলিয়ে দিতে হবে। পাইলট ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চট্রগ্রামে অবতরণ করান। 
“যতটুকু জানা গেছে সাগর নামে একজন ক্রু ছাড়া আর কেউ নেই বিমানে, বলেন তিনি।  

ওই উড়োজাহাজে থাকা সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন থান বাদল সময় টিভিকে বলেন, “পাইলট আমার সঙ্গে নেমে এসেছিল। সে বলেছে, তাকে পারসু করার চেষ্টা করেছে হাইজ্যাকার, বলছে সে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চায়। 

“সমস্ত যাত্রীরা সেইফ এবং ওই হাইজ্যাকারকে নামানোর চেষ্টা হচ্ছে,” বলেন তিনি।