সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ওই এলাকার সাংসদ নওফেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “কীভাবে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাই না।
“অনেকে নাশকতার অভিযোগ তুলেছেন। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, যেটা আইনি নিয়ম, তদন্ত করে সত্যতা নিরূপন করা। এটার দায়িত্ব বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনের।”
“যে পরিবেশে তারা ছিলেন সেটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কেন তারা এভাবে ছিলেন, কোথা থেকে আগুন লেগেছে, সেটা আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে জানতে চাই,” বলেন নওফেল।
তিনি আশ্বস্ত করেন, তদন্তে আগুন লাগানোর পেছনে কারও সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান নওফেল।
রোববার ভোরে আগুন লাগার পর স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছুদিন আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদের নোটিশ দিলে তারা বস্তি ছেড়ে চলে যেতে চান। কিন্তু তথন কলোনির মালিকরা তাদের বস্তি ছাড়তে নিষেধ করেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন রাজাখালী খালের মুখে চরে গড়ে উঠা এই বস্তিকে সরকারি খাস জমি বলে দাবি করেন। ওই খাস জমিতে অবৈধ দখলের মাধ্যমে এসব বসতি গড়ে তোলা হয় বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের।
বিপরীতে কলোনি মালিকদের দাবি তাদের মালিকানাধীন জমিতে এসব কলোনি গড়া হয়। জমির মালিকানা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান বলেও তারা জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওফেল বলেন, “মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়টা একটা লিগ্যাল সিচুয়েশান। বাংলাদেশ সরকারের যদি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়ে থাকে সেটা একটা বিষয়। ব্যক্তি মালিকানায় যদি আদালতের রায় থেকে থাকে সেটা দেখে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত দেয়ার বিষয় আছে। এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
ভেড়া মার্কেট সংলগ্ন বস্তিতে লাগা আগুনের উৎস সম্পর্কে সোমবারও নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। ঘটনা তদন্তে তারা পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।