গ্যাস লাইনে ফুটো: চট্টগ্রামে ভোগান্তি দ্বিতীয় দিনে

খাল খোঁড়ার সময় ফুটো হওয়া গ্যাস পাইপ মেরামতের কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় নগরবাসীর ভোগান্তি দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2019, 11:37 AM
Updated : 17 Feb 2019, 12:58 PM

রোববার বিকাল পর্যন্ত মহানগরীর বড় একটি অংশসহ ইপিজেড এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের খালপাড় এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মাইট্টাল্লা খাল খননের সময় পাইলিংয়ের একটি হুক গ্যাস সরবরাহ লাইনে ঢুকে ফুটো হয়ে যায়।

গ্যাস সরবরাহের প্রধান এই ‘রিং লাইনটি’ বৃত্তাকারে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন অংশে বিস্তৃত বলে কেজিডিসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

শনিবার বিকালে পাইপে ফুটো হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ার পর সেখান দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।‘হঠাৎ’ গ্যাস চলে যাওয়ায় রান্নায় বিপাকে পড়েন এলাকাবাসীর। দ্বিতীয় দিনেও এখন পর্যন্ত গ্যাস লাইনের ক্রুটি সারাতে না পারায় চুলা জ্বলেনি অনেক ঘরেই। মাটির চুলার মতো বিকল্প ব্যবস্থায় রান্নার পাশাপাশি হোটেল থেকে কিনে চালাতে হচ্ছে তাদের।

পাইপ মেরামত কাজ নিয়ে কেজিডিসিএলের ম্যানেজার (কাস্টমার অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) অনুপম দত্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খালের অনেক গভীরে হওয়ায় এবং কাদামাটি ও পানি বেশি থাকায় দুর্ঘটনাস্থলের পাইপ লাইনটি উন্মুক্ত করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকায় চলছে গ্যাস লাইনের ফুটো মেরামত। শুক্রবার সিটি করপোরেশনের খাল খনন কাজের সময় সরবরাহ লাইন ফুটো হয়ে যায়। এতে রোববার বন্দরনগরী বড় একটি অংশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। ছবি: সুমন বাবু

“গ্যাসের লাইনটি প্রথমে উন্মুক্ত করার পর সেটি সারানো হবে। এরপর গ্যাস সরবরাহ লাইন পুনরায় চালু করা যাবে।”

কেজিডিসিএলের এই  কর্মকর্তা বলেন, ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপটি ফুটো হওয়ায় এ অংশের মধ্য দিয়ে প্রতিদিনের ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ আছে।

পাইপলাইনে এই ক্রুটির কারণে চট্টগ্রাম ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র (৬০ মেগাওয়াট) ইউনাইটেড পাওয়ার, নগরীর হালিশহর, পতেঙ্গা, বন্দর, আগ্রাবাদ পুরো এলাকা, সদরঘাট, ফিরিঙ্গী বাজার, আন্দরকিল্লা, হেম সেন লেইন, জামাল খান, চেরাগী পাহাড়সহ বিভিন্ন অংশে আংশিকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে।

গ্যাস লাইন ফুটো হওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।