পতেঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার তাহমিলুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বুধবার সকাল থেকে সদরঘাট এলাকায় তৃতীয় দিনের উচ্ছেদ অভিযান চলে।
উচ্ছেদ হওয়া স্থাপনাগুলোর মধ্যে লবণসহ বিভিন্ন পণ্যের গুদামও রয়েছে। উচ্ছেদের ঘোষণায় অনেকেই আগে থেকে মালামাল ও স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে বলে সহকারী কমিশনার জানান।
২০১০ সালের ১৮ জুলাই হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে করা রিট আবেদনে হাই কোর্টের এক আদেশে নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরণের স্থাপনা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। সেইসাথে স্থানীয় প্রশাসনকে নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে বলে আদালত।
গত সোমবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদরঘাট জেটি ঘাট এলাকা থেকে নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, পতেঙ্গা মোহনা থেকে মোহরা এলাকা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় কর্ণফুলীর উভয় তীরে ২ হাজার ১১২টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি সরকারি স্থাপনা বাদ দিয়ে বাকিগুলো উচ্ছেদ করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।