বাসায় ইয়াবা: ৬ মাস পর চট্টগ্রামের সেই এসআইয়ের আত্মসমর্পণ

বাসা থেকে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় বরখাস্ত এসআই খন্দকার সাইফ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2019, 08:58 AM
Updated : 6 Feb 2019, 09:03 AM

সাইফ বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পঞ্চম বিচারিক হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবউদ্দিন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ইয়াবা উদ্ধারের পর সাইফ পলাতক ছিলেন। ছয় মাস পর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”

গত বছরের ৩০ জুলাই রাতে নগরীর পশ্চিম বাকলিয়ার তুলাতলী হাফেজ নগর এলাকার হাজী গোফরান উদ্দিন মুন্সী বাড়ির একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৪ হাজার ১০০ ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব।

র‌্যাব কর্মকর্তারা তখন জানিয়েছিলেন, তৎকালীন চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও বাকলিয়া থানার এসআই খন্দকার সাইফ উদ্দিন বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। বাসা থেকে কয়েকটি লাগেজ, এসআই সাইফের ব্যবহার করা পুলিশের পোশাক, হাতকড়ার কভারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বই জব্দ করা হয়েছিল।

ওই ঘটনায় বাড়ির মালিকের ছেলে মিল্লাতকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। অসুস্থতা বোধ করায় এসআই সাইফকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান।

ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় পরদিন বাকলিয়া থানায় র‌্যাব-৭ এর ডিএডি নাজমুল হুদা মামলা করেন। মামলায় মিল্লাতকে গ্রেপ্তার আর এসআই সাইফকে পলাতক দেখানো হয়েছিল।

সে সময় র‌্যাব-৭ এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তিনতলা ভবনের নিচ তলার বাসাটি মাসিক আট হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন এসআই সাইফ। তার আগে চাক্তাই ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্য বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। বাসাটি তারা ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করতেন।

শাহ আমানত সেতু এলাকায় তল্লাশী চৌকি বসিয়ে চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লোকজনকে হয়রানি করতেন বলে অভিযোগ ছিল।

ইয়াবা উদ্ধারের পর নড়েচড়ে বসেছিল পুলিশ। চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ির সব সদস্যকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।