পরে হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশী চালিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আরও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথমপত্র বিষয়ের পরীক্ষায় ওই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিনজন কক্ষ পরিদর্শককেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা।
ইউএনও মো. রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই শিক্ষার্থীর মোবাইলে আজকের পরীক্ষার সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী প্রশ্নের ছবি পাওয়া যায়।
“সে এসব ছবি বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করছিল। তার আগেই আমাদের হাতে ধরা পরে। এরপর কেন্দ্রটির আরও কয়েকটি কক্ষে তল্লাশী চালিয়ে ছয়জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোট সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।”
বহিষ্কৃত পরিক্ষার্থী হাটহাজারীর মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, নির্দেশনা অনুসারে কেন্দ্রে শুধু কেন্দ্র সচিব একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে পারবেন এবং সেটিও ক্যামরা ছাড়া ফোন হতে হবে।
“কেন্দ্রে স্মার্টফোন নিয়ে প্রবেশ করায় এবং ছবি তুলে বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করায় ওই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি ছয় পরীক্ষার্থীর শাস্তি হিসেবে ৩০ মিনিট করে সময় কেটে নেওয়া হয়েছে।”
এ ঘটনায় তিনজন কক্ষ পরিদর্শককে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “ওই তিন শিক্ষককে শোকজ করা হবে এবং পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”