ভাসানচর সংলগ্ন সাগরে ডুবেছে দুটি লাইটার জাহাজ

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে যাওয়ার পথে নোয়াখালীর ভাসানচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ডুবেছে দুটি ছোট জাহাজ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2019, 11:44 AM
Updated : 24 Jan 2019, 11:48 AM

এর মধ্যে ‘খাজা বাবা ফরিদপুরী’ নামে একটি জাহাজ পুরোপুরি ডুবে গেছে। 'এন ইসলাম' নামে অন্যটিরও বেশিরভাগ অংশ ডুবে গেছে।

‘খাজা বাবা ফরিদপুরী’র  একজন নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, লাইটার জাহাজ দুটি আলাদা স্থানে ডুবেছে।

খাজা বাবা ফরিদপুরী জাহাজটি ১৭০০ মেট্রিক টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিল। 

সেলিম বলেন, “ভাসানচর বয়ার এক নটিক্যাল মাইল পূর্বে গিয়ে জাহাজটি ডুবে যায়। এর ১৩ জন নাবিকের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একজন নাবিক এখনও নিখোঁজ আছেন।"

জাহাজটি ডোবার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নির্দেশনা আছে, জোয়ারের সময় তিন ঘণ্টা সময় নিয়ে যেন ভাসানচর অতিক্রম করা হয়। জাহাজটি ভাসানচর অতিক্রমের সময় ভাটার টান ছিল। ভাটার টানে জাহাজটি ডুবে যায়।”

ভাসানচরের কাছাকাছি এলাকায় আরেকটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘এন ইসলাম’র তলা ফেটে গিয়ে সেটি ডুবে যাচ্ছে বলে জানান সেলিম। এটি ভুট্টা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিল। 

এন ইসলামের নাবিকরা জানিয়েছেন, সিটি-১৯ নামের অন্য একটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের জাহাজের তলা ফুটো হয়ে যায়।

সেলিম বলেন, “এরপর জাহাজটি যখন ডুবে যাচ্ছিল, ক্যাপ্টেন সেটিকে চরের কাছাকাছি নিয়ে যায়। সেখানে জাহাজটির বেশিরভাগ অংশ ডুবে গেছে। শুধু উপরের অংশটি দেখা যাচ্ছে। এতে যারা ছিলেন, সবাই নিরাপদে আছেন।”