চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2019, 01:10 PM
Updated : 22 Jan 2019, 01:10 PM

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক দুই গ্রুপ ‘চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার’ (সিএফসি) এবং ‘সিক্সটি নাইন’-এর কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

আগের দিন শাটল ট্রেনে সিএফসির সদস্য এক শিক্ষার্থীকে মারধরের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন বিডিনিউজ টোয়ান্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংঘর্ষে ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান এবং পালি বিভাগের দ্বিতীয়য় বর্ষের শিক্ষার্থী প্লাটন চাকমা আহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক আতাউর গণি পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুইজনকে তাদের ওইখানে নেওয়া হয়েছিল। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাস সংলগ্ন মোড়ে সিক্সটি নাইন গ্রুপের দুই কর্মীকে সিএফসির নেতাকর্মীরা মারধর করেন।

এরপর সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা গিয়ে শাহজালাল হলে এবং সিএফসির সদস্যরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নেয়। তারপর উভয় পক্ষে ধাওয়া- পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।

এক পর্যায়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর হামলা চালাতে প্রস্তুতি নিলে পুলিশ পিটুনি দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় কয়েকজন আঘাত পান।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ও সিএফসি গ্রুপের নেতা শায়ন দাশ গুপ্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকালের ঘটনাটি সিনিয়রদের নিয়ে সমাধান করলেও সকালে তারা আমাদের জুনিয়রদের উসকানি দেয়। পরবর্তীতে আল মনির কটেজে আমাদের জুনিয়রদের অপহরণ করলে এ ঘটনা ঘটে।"

অন্যদিকে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-গ্রন্থনা বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল টিপু বলেন, “বিনা উসকানিতে তারা আমাদের জুনিয়রদের মারধর করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।”

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দোলা রেজা বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

ক্যাম্পাসে সিএফসি গ্রুপ প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী এবং সিক্সটি নাইন সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।