শুক্রবার হাই টেক পার্ক নির্মাণে সিটি করপোরেশন জমি দানে আগ্রহী হওয়ায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এই শহরে এ রকম জমি পাওয়া খুব দুষ্কর।
“সেক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন এগিয়ে আসায় খুব ভালো হয়েছে। দেশের ১২টি জেলায় একই সাথে হাই টেক পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু হবে।”
এর আগে সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির।
এরপর মেয়রসহ বিএফআইডিসি সড়কে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) মালিকানাধীন ১১ দশমিক পাঁচ একর জমি পরিদর্শনে যান মন্ত্রী।
সিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরিদর্শন শেষে জমিটি হাই টেক পার্ক নির্মাণের জন্য উপযুক্ত বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
“এ লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাটি ভরাটের কাজ শেষ করতে বলেছেন। পাশাপাশি সার্ভে করে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হাই টেক পার্ক-১২ এর প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।”
এই পার্ক নির্মাণ হলে চট্টগ্রামবাসী উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন সিটি মেয়র নাছির।
তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে। হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।
“পাশাপাশি সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট এবং আইসি পণ্য উদ্ভাবন ও রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হবে। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হাই টেক পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, মন্ত্রীর একান্ত সচিব খোরশেদ আলম খান, সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী প্রমুখ।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নির্মাণের অংশ হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে হাই টেক পার্ক এবং সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে বলে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।