পাহাড়তলী থানার ওসি সদীপ দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ওই পাটকলের পুরনো কারখানা ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়।
অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর ছয়টি ইউনিটের ১৮টি গাড়ি আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, “আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমানো গেলেও রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।”
ইস্পাহানি শিল্পগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ‘ভিক্টোরি জুট প্রডাক্টস লিমিটেড’ ২০০৬ সালে পুরোপুরি ব থেকে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে কয়েকটি বড় কোম্পানি ওই স্থাপনার বিভিন্ন অংশ ভাড়া নিয়ে নিজেদের পণ্য গুদাম হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল।
পুরনো কারখানার জমির একটি অংশে বছর দুই আগে ‘ইস্পাহানি সামিট অ্যালায়েন্স টার্মিনালস লিমিটেড’ নামে একটি কনটেইনার ডিপো গড়ে তোলা হয়। তবে সেখানে আগুন ছড়ায়নি বলে জসিম উদ্দিন জানান।
তিনি বলেন, পুরনো কারখানা ভবনের যে অংশে আগুন লেগেছে, সেখানে আরএফএল এবং ইউনিলিভারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গুদাম ছিল।
“এসব গুদামে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, প্লাস্টিক পণ্য, প্রসাধন সামগ্রী, তুলা এবং পণ্য তৈরির রাসায়নিক উপকরণ ছিল। এসব দাহ্য উপাদানের কারণে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।”
পাশাপাশি গুদামগুলোর পানির নিজস্ব উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান।
বিকেলে আগুন লাগার পর বহু দূর পর্যন্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক কিলোমিটার দূরে নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড় থেকেও আকাশে আগুনের লাল আভা দেখা যাচ্ছিল।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এ কে খান মোড় এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উৎসুক জনতা ভিড় জমালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়।
আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।