সোমবার রাতে নগরীর সরাইপাড়া এলাকা থেকে শওকত খান রাজু নামের ওই যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তারের কথা জানান ডবলমুরিং থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, রাজু এ ঘটনায় করা হত্যা মামলার চার নম্বর আসামি।
রাজু সরাইপাড়া ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।
এর আগে রোববার রাতে নগরীর পাহাড়তলী এলাকা থেকে রিদোয়ান ফারুক রাজীব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাজীব নিহত সোহেলের বন্ধু এবং একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।
ওসি মহিউদ্দিন সেলিম জানান, এজাহারনামীয় আসামি না হলেও তদন্তে রাজীবের নাম উঠে এসেছে। সেকারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ নিয়ে সোহেল হত্যর ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হল।
গত ৭ জানুয়ারি সকালে পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা ‘চাঁদাবাজি’তে অতিষ্ঠ হয়ে ‘গণপিটুনি’ দিয়ে মহিউদ্দিন সোহেলকে মেরে ফেলে বলে পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিল।
পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবার দাবি পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটনো হয়েছে।
এরপর সোহেলের ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ওই মামলায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আহম্মেদ ও জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানকে প্রধান আসামি করা হয়। ওসমান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওসমানের পর আরও চারজনকে গ্রেপবতার করা হয়। এরা হলেন- আজাদ, মামুন, মোবারক হোসেন ও সাহাবুদ্দিন। এদের মধ্যে সাহাবুদ্দিন ছাড়া অন্য তিনজন সোহেল হত্যা মামলার আসামি।