মঙ্গলবার সকালে নগরীর হকার মার্কেট এলাকা থেকে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। জয় অপহৃত ওই ছাত্রের খালাত ভাই।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (পশ্চিম) মঈনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জয় ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য সে খালাত ভাই সাদেক ছোবহান সাকিবকে অপহরণ করেছিল। পাশাপাশি তার আরেক খালা নাসিমা বেগম অপহৃত সাকিবের মার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল।”
মঈনুল ইসলাম বলেন, ওই টাকা ফেরত চাওয়ায় সাকিবের মায়ের সাথে নাসিমা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে নাসিমা বেগমও জয়কে প্ররোচিত করে সাকিবকে অপহরণ করতে।
“সাকিবকে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখতে জয়কে পাঁচ হাজার টাকাও দেন নাসিমা বেগম।”
সোমবার ভোরে লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী বাজার এলাকার এম কে বোর্ডিং নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে সাকিবকে উদ্ধার এবং মো. হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১০ জানুয়ারি সকালে চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট কলেজে যাওয়ার পথে অপহৃত হন সাকিব।
ঠাকুরদিঘী এলাকায় জয় তাকে গাড়িতে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তার বাবার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এই ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সাকিবের বাবা ফৌজুল কবীর।
সাকিবকে অপহরণ করার পর প্রথমে লোহাগাড়ার দুর্গম এলাকা নাখালদিয়ার একটি মাছের প্রজেক্টে নিয়ে রাখে জয়। সেখান থেকে কয়েকটি স্থানে ঘুরিয়ে হোটলেটিতে নিয়ে যায়।
লোহাগাড়ার হোটেলটি থেকে চেতনা নাশক ওষুধ এবং অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।