কথা ‘বিকৃত’ করবেন না: আহমদ শফী

বক্তব্য ‘বিকৃত’ না করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2019, 05:52 PM
Updated : 13 Jan 2019, 05:53 PM

এক সম্মেলনে নারী শিক্ষা নিয়ে তার বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার রোববার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান তিনি।

নিজের স্বাক্ষরে পাঠানো এই বিবৃতিতে আহমদ শফী বলেন, “কারও বক্তব্য বিকৃত করবেন না। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।

“কারও বক্তব্যকে ব্যাখ্যা দিতে হলে আপনাকে তার কথা বুঝতে হবে, অনুধাবন করতে হবে। না বুঝে নিজের মতো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো এক ধরনের অপরাধ।”

চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালক শফী শুক্রবার সেখানে বার্ষিক মাহফিলে মুসল্লিদের ওয়াদা করান।

তিনি মেয়েদের স্কুল-কলেজে না দিতে এবং দিলেও সর্বোচ্চ চতুর্থ কিংবা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর ওয়াদা নেন বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।

তার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, হেফাজত আমিরের ওই বক্তব্য রাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক’।

শাহ আহমদ শফী

এরপর শনিবার এক বিবৃতিতে আহমদ শফী বলেন, তার বক্তব্যের একটি খণ্ডাংশ গণমাধ্যমে ‘ভুলভাবে’ উপস্থাপন হওয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

রোববারের বিবৃতিতে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “আমি মূলত বলতে চেয়েছি, ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দার লঙ্ঘন হয়, এমন প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের পড়াশুনা করানো উচিৎ হবে না।

“ইসলামে নারীদের শিক্ষার বিষয় উৎসাহিত করা হয়েছে এবং সকলেই অবগত যে, উম্মুল মুমিনিন হজরত মা আয়িশা রা. ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। তিনি শিক্ষাগ্রহণ না করলে উম্মত অনেক হাদিস থেকে মাহরুম হয়ে যেত।”

নারী শিক্ষা নিয়ে আহমদ শফীর বক্তব্যের সারাংশ বলতে গিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “উচ্চশিক্ষা বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াতে চাইলে মেয়েরা বোরকা গায়ে দিয়ে পড়বে এবং তাদের শিক্ষকও মহিলা হবে।”