শপথ নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রামে ফিরে শাহ আমানত বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় এই আশাবাদ প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম-১৩ আসনের এই সংসদ সদস্য।
জাবেদ বলেন, “এখানে অনেক কাজ করার আছে। আমার টিমে যারা আছে তাদের সবাইকে নিয়ে অনেক দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাব। আমার স্বপ্ন এই মন্ত্রণালয়কে টপ ফাইভে নিয়ে যাব।”
ভূমি ব্যবস্থাপনাকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নতুন দায়িত্ব শুরু করেন জাবেদ।
সেই ওয়াদার রেশ টেনেই তিনি বলেন, “দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স থাকবে। এটাই চ্যালেঞ্জ। এটা অ্যাচিভ করব।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাবেদ বলেন, কোনো ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে এই মন্ত্রণালয় থেকে যেতে চান না তিনি।
“এখানে ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আরও বলতে চাই, কোনো ব্যর্থতার জায়গা নিয়ে এখান থেকে যাব না। আশা করি, এই মন্ত্রণালয়ে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারব।”
২০৪১ সালের রূপকল্প সরকার বাস্তবায়নে কাজ করার লক্ষ্যে ‘দেশবাসী, এলাকার মানুষ ও চট্টগ্রামবাসীর’ দোয়া চান প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর এই ছেলে।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন তা যেন বিশ্বস্ততার সাথে পালন করতে পারি। এটা গুরুদায়িত্ব। অনেক কাজ করার সুযোগ এখানে আছে।”
বাবার মৃত্যুর পর চট্টগ্রামের আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনে এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন জাবেদ।
বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজে শাহ আমানত বিমান বন্দরে নামেন জাবেদ; তার সঙ্গে ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর।
জাবেদের অনুসারী কয়েকশ নেতা-কর্মী আগে থেকে বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ এলাকায় ছিলেন। বিমানটি রানওয়ে অতিক্রম করে টেক্সিওয়েতে পৌঁছালে ভূমিমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বেশ কয়েকজন ভিআইপি লাউঞ্জ সংলগ্ন দরজা দিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েন।
বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুরকে স্বাগত জানাতেও সাত-আটজন বিমানবন্দরের টেক্সিওয়েতে ডুকে পড়েছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারোয়ার ই জাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভিআইপি লাউঞ্জের পাশের জায়গায় বেশ কিছু লোক ছিল। তবে এতে কোনো সমস্যা হয়নি।”