মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলায় জাপা নেতা ওসমান গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2019, 02:47 PM
Updated : 10 Jan 2019, 10:44 AM

গত সোমবার পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারে ওসমান খানকে মারধরের পর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছিলেন সোহেল।

সেদিন মাথা ফাটার পর ওসমান খান হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে পাহাড়তলীতে নিজের বাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম নগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওসমান খান পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

ডবলমুরিং থানার ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মহিউদ্দিন সোহেলের ভাইয়ের করা মামলায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাহাড়তলীর নিজ বাসা থেকে ওসমান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনায় ডবলমুরিং থানায় হত্যামামলাটি করেন নিহত সোহেলের ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহম্মেদ এবং ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ওসমান খানকে।

এছাড়া ওই মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়।

‘চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ’ হয়ে সোমবার সকালে রেলওয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের ‘পিটুনিতে’ সোহেল নিহত হন বলে পুলিশ সেদিন জানিয়েছিল। ওই দিন সোহেলের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের বিষয়টিও জানিয়েছিল পুলিশ।

ওসমান খান এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, বাজারে আসা-যাওয়ার পথ হিসেবে ব্যবহৃত একটি গেইট বন্ধ থাকা নিয়ে সোহেলের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে তার মাথা ফাটে। পরে কী হয়েছে তা তিনি জানেন না।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ সম্পাদক সোহেল তার আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও ছিলেন। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে তার পরিচিতি ছিল।

বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সোহেল বাজারের দুটি দোকান দখল করে চাঁদাবাজি করতেন।

বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক সাবের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, সোহেল ‘মাদক ব্যবসাও’ করতেন।

বিপরীতে সোহেলের পরিবারের দাবি, ওসমান খানের মাদকের আখড়া ভেঙে দিয়েছিলেন সোহেল। সেজন্য তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন ওসমান। তার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সোহেলকে হত্যা করা হয়।

ওই বাজারে আগে ওসমান খানের একটি ‍জুয়ার আড্ডা ছিল বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন কাউন্সিলর সাবেরও।