মঙ্গলবার রাতে ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন সোহেলের ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাহাড়তলি রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহম্মেদ এবং জাতীয় পার্টির নেতা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ওসমান খানকে।
আসামি হিসেবে আরও ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে দেড়শজনকে।
ডবলমুরিং থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে মহিউদ্দিন সোহেলের ভাই এই মামলা করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিহত সোহেলের পরিবার দাবি করে এলাকার মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
পাহাড়তলী বাজারের মাদক আখড়া ভেঙে দেওয়ায় স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহম্মেদ ও জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খান নিহত সোহেলের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন বলে তার পরিবারের দাবি।
গত সোমবার সকালে পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা ‘চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট’ হয়ে ‘গণপিটুনি’ দিয়ে মহিউদ্দিন সোহেলকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছিল। ওই দিন সোহেলের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের বিষয়টিও জানিয়েছিল পুলিশ।
তবে বাজারে আসা পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবির বিষয়ে সোমবার ব্যবসায়ীদের কয়েকজন অভিযোগ করলেও সোহেলের চাঁদাবাজির বিষয়ে ‘জানতেন না’ বলে দাবি করেছেন সাবের আহম্মেদ ও ওসমান খান।