আহত ওমর ফারুক সানিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অলির বড় ছেলে সানি ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাবার নির্বাচনে কাজ করতে সাতকানিয়ায় গিয়েছিলেন তিনি। মাথা ও ঘাড়ে আঘাতের পাশাপাশি তার বাঁ হাত ভেঙেছে বলে অলি আহমদ দাবি করেছেন।
শনিবার দুপুরের পর সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী তাদের ওপর হামলা হয় বলে সাতকানিয়া থানার ওসি শফিউল কবির জানান।
হামলায় সানিসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন দাবি করে এর জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দুষছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ।
চট্টগ্রাম- ১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে দলীয় প্রতীক ছাতা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অলি। সেখানে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
অলি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তেমুহনী এলাকায় আমার ছেলেসহ দলীয় লোকজন নির্বাচনী প্রচারে গেলে সেখানে সাংসদ নজরুল ইসলামের বড়ভাই মন্টুর নির্দেশে সরকারদলীয় লোকজন হামলা চালায়।
হামলার জন্য সাংসদ নজরুলের বড় ভাই মন্টু ছাড়াও চন্দনাইশের উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরীকে দায়ী করেন তিনি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়ার ওসি শফিউল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তেমুহনী এলাকায় অলি সাহেবের সমর্থকরা প্রচারণায় গিয়ে সরকারবিরোধী শ্লোগান দিলে একদল মুখোশধারী এসে হামলা করে। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।”
এতে চার-পাঁচজন আহত হয়েছেন এবং অলি আহমদের ছেলেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।