শুক্রবার রাতের প্রথম প্রহর থেকেই প্রিয়নেতার কবর জিয়ারত করতে আসতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
কেউ আসেন দল বেঁধে, কেউ আসেন একা। প্রায় সবারই হাতে ছিল ফুলের তোড়া, কারও কারও চোখ ভেজা ছিল প্রিয় নেতার জন্য।
নীরবে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ দোয়া করেন। অনেকে স্মৃতিচারণ করেন মহিউদ্দিনের সঙ্গেবিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গী হওয়া দিনগুলো নিয়ে।
শনিবার সকাল হতেই দলীয় নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে নেতারা প্রয়াত নগর কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিনের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর কমিটির সহ-সভাপতি সুনীল সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, নোমান আল মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম ফারুক ও মশিউর রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম ও সাবেক মহানগর পিপি কামাল উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া নগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
ওয়ার্কার্স পার্টির নগর কমিটির সভাপতি আবু হানিফ এবং সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, জাসদ মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, গণআজাদী লীগের নজরুল ইসলাম আশরাফী এবং ন্যাপ নেতা মিটুল দাশগুপ্ত ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বেলা বাড়ার সাথে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।
আগতদের মধ্যে অনেকেই দূরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবনে গিয়ে তার স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন এবং বড় ছেলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে দেখা করেন।
১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর রাউজানের গহিরায় জন্ম নেওয়া মহিউদ্দিন ৭৪ বছর বয়সে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর প্রতিরোধের ডাক দিয়ে ‘চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলার’ আসামি হন এবং দেশত্যাগে বাধ্য হন।
১৯৯৪ সাল থেকে টানা ১৬ বছর তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের মেয়র। প্রায় দুই যুগ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার পর ২০০৬ সালের ২৭ জুন নগর কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান মহিউদ্দিন। মৃত্যু পর্যন্ত এই পদে ছিলেন তিনি।