বিএনপি শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকবে: নোমান

দমন-পীড়ন ও নির্যাতন চালিয়ে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2018, 02:10 PM
Updated : 12 Dec 2018, 03:39 PM

বুধবার চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর-ডবলমুরিং) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নোমান নিজ নির্বাচনী এলাকা নগরীর সাগরিকা মোড়ে জনসংযোগের সময় বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

নোমান বলেন, “সরকার বুঝে গেছে তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই, ৩০ ডিসেম্বর জনগণ নৌকাকে প্রত্যাখ্যান করবে। সারাদেশে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তা দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে।

“গ্রেপ্তার, নির্যাতন, দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে। বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে। এবং সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবেলা করবে।”

তিনি বলেন, “বিগত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও লুটপাট করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। ব্যাংকিং সেক্টর ও শেয়ার বাজারকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

“হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে ‍গুম-খুন ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জনগণ ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে তাদের দু:শাসনের জবাব দিবে। কোনো অপশক্তি ধানের শীষের বিজয় ঠেকাতে পারবে না।”

বুধবার নোমান নগরীর কাজীর দিঘী, মুরগি ফার্ম, পাঠান পাড়া, ফৌজদার পাড়া, সাগরিকা রোড, বশির শাহ মাজার, লোহারপুল ও সরাইপাড়া বিশ্বরোড এলাকায় জনসংযোগ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল, আহমেদুল আলম রাসেল, আবু জহুর, পাহাড়তলি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন জিয়া, হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশাররফে হোসেন দিপ্তী প্রমুখ।

ইসির নির্দেশ ‘মানা হচ্ছে না’

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা না মেনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আবদুল্লাহ আল নোমান।

বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে নোমান বলেন, “পুলিশ আজ আমার নির্বাচনী এলাকা হালিশহর থানা বিএনপির ১০০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে হালিশহর থানায় গায়েবী মামলা করেছে।”

“এছাড়া হালিশহর ও পাহাড়তলী থানা পুলিশ নির্বাচনী পোস্টার লাগানোর সময় বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, সাইফুল আলম ও নাজিমউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে।”

এছাড়া পাহাড়তলীতে মাইকিংয়ের সময় হামলা এবং খুলশী এলাকায় প্রস্তুতি সভা পণ্ড করে দেওয়ার অভিযোগও তিনি করেন পুলিশের বিরুদ্ধে।

নোমান বলেন, “সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করে ভোটকেন্দ্র দখল করার আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে।”