মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম-৯ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। আমীর খসরু নিজেও চট্টগ্রাম-১১ আসনে দলের প্রার্থী।
গত ২১ অক্টোবর আইসিটি আইনের একটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে আমীর খসরুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিল আদালত। ওই দিন আদালত চত্ত্বরে পুলিশকে লাঞ্ছনার অভিযোগে শাহাদাত এখন বন্দি। গত ৭ নভেম্বর ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আমীর খসরু বলেন, “অনেকে মনে করেছে শাহাদাত জেলে থাকলে নির্বাচন করতে পারবে না। তারপরও আমরা শাহাদাতকে প্রার্থী করেছি। আমাদের নেতাকর্মীদের মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে। যেন কারাগারে থেকেও শাহাদাতকে জয়ী করতে পারি।”
চিকিৎসক শাহাদাত ছিলেন চট্টগ্রাম বিএমএ’র নেতা। ২০১১ সালে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল তাকে। ২০১৭ সালে তিনি সভাপতি হন।
নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি খসরু বলেন, “ধানের শীষের জোয়ার উঠেছে। আমার নির্বাচনী এলাকায় তিন দিন ধরে তাণ্ডব চালানো হলেও আমি সকালে যাওয়ার পর সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে।”
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর সবাইকে কেন্দ্রে যেতে হবে। জনগণকে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। ধানের শীষে ভোট নিতে হবে। ১০ বছর ধরে বিএনপি শক্ত হয়েছে। নানা নির্যাতনের পরও বিএনপি দমে যায়নি। বিএনপি কর্মীরা আরও শক্ত হয়েছে।”
আমীর খসরু অভিযোগ করেন, বিএনপির ওয়েবসাইট সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।
“সকালে বিএনপির ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এটির ভিউয়ার ছিল ৭০ থেকে ৮০ লাখ মানুষ। এটি তৈরির সাথে আমিও জড়িত ছিলাম।”