প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পর সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সংসদ সদস্য প্রার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে এলডিপির প্রার্থী অলি আহমদ, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনে বিএনপি প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে বিএনপি প্রার্থী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) এ বিএনপি প্রার্থী নুরুল আমীন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে বিএনপি প্রার্থী আজিম উল্লাহ বাহার, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে কল্যাণ পার্টির ধানের শীষের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে বিএনপি প্রার্থী এনামুল হক এনাম, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে বিএনপি প্রার্থী সরওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপি প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তার থাকায় চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) আসনের প্রার্থী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে জামায়াতে ইসলামীর ধানের শীষের প্রার্থী আ ন ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে বিএনপি প্রার্থী মোস্তফা কামাল পাশা, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বিএনপি প্রার্থী জসিম উদ্দিন সিকদার ও চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপি প্রার্থী ইসহাক কাদের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না।
শাহাদাতের পক্ষে তার প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক বদরুল আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনের আগে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-বাড়িতে বাড়িতে অভিযান-হয়রানির প্রতিবাদ এবং নির্বাচনী প্রচারে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
“নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময়ে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টির যে প্রক্রিয়া চলছে, তা বন্ধ করতে হবে। যারা এসব কাজ কাজ করছে, তারা সঠিক কাজ করছে না...এমন মেসেজ তাদের আমাদের পক্ষ থেকে দিচ্ছি।”
আমীর খসরু বলেন, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কোনো কারণ নেই।
কারাগারে থাকা বিএনপি ও জোটের প্রার্থীদের মুক্তি দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
অলিিআহমদ বিচারকদের আইন মেনে এবং পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
নোমান বলেন, “বিরোধী দলের জন্য এক রকম আইন, তাদের (ক্ষমতাসীন দল) জন্য আইন অন্য রকম। শত শত মামলা আমাদের কাঁধে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির এমন কোনো পরিবার নেই, যেখানে হয়রানি করা হচ্ছে না।
এসেছি থাকার জন্য: অলি
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ২০ দলীয় জোটের মুখপাত্র অলি আহমদ বলেন, “আমরা (ভোটে) থাকার জন্যই এসেছি। আমাদের লক্ষ লক্ষ কর্মী মাঠে নেমে পড়েছে কোনো আনন্দ উৎসবের জন্য নয়, তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের জন্য।
“সামনের দিকে যাবার জন্য মাঠে নেমেছি। বাংলাদেশ ইজারা দেওয়া হয় নাই। মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, আমরা এগিয়ে যাব।”
আমীর খসরু বলেন, “আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে এসেছি। এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করব। দেশের মালিকানা দেশের মানুষে কাছে ফিরিয়ে দেব।”
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের দাবি পূরণ হয়েছে কি না- জানতে চাইলে এলডিপি অলি বলেন, “কোনো ডিমান্ড ফুলফিল হয় নাই, যতবার বলি প্রত্যেকবার সরকারের পক্ষ থেকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলছে, হচ্ছে... হয়ে যাবে। কিন্তু কোনোটাই হচ্ছে না।”
তিনি বলেন, “আমরা প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই জনগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে।”
সরকার দেশকে রক্তপাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে দাবি করে অলি বলেন, “আমরা শান্তি চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, দেশের প্রতি আপনার দায়িত্ব আছে। দেশকে ধ্বংসের দিকে রক্তপাতের দিকে ঠেলে দেবেন না।”