শুক্রবার দুপুরে নগরীর সিআরবি কাঠের বাংলো এলাকা থেকে মো. ফারুক ওরফে বুলেট ফারুক (৩৬) নামের ওই যুবককে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফারুকের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, দস্যুতাসহ অন্তত পাঁচটি মামলা আছে বিভিন্ন থানায়।
“ফারুক ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর টাইগার পাসের আমবাগানে পিডব্লিউডি কলোনি সংলগ্ন ডিআইজি বাংলোর নিচে কনস্টেবল আব্দুল কাইয়ূম হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি। আজ দুপুরে সিআরবি এলাকায় ছিনতাই করার জন্িই সে অবস্থান করছিল।”
২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর আমবাগান এলাকার পাহাড় সংলগ্ন ডিআইজি বাংলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন নিহত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল কাইয়ূম। সকালে ডিউটি শেষে কয়েকজন সহকর্মীসহ নাস্তা খেতে যায়ার সময় একদল যুবককে ছিনতাই করতে দেখে বাধা দেন তারা।
এসময় ছিনতাইকারীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালালে গলা ও পেটে ধারালো অন্ত্রের আঘাতে খুন হন কাইয়ূম। তার তিন সহকর্মীও সেদিন আহত হন।
ওই ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেছিল পুলিশ। সেই তদন্তে পরে ফারুকের নাম আসে।
পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন, ফারুক এর আগে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবার ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ে।
কোতোয়ালী থানায় ফারুকের বিরুদ্ধ অস্ত্র আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।