বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের উদ্যোগে ও ডয়েচে ভেলের সহায়তায় এই সম্মেলনের উদ্বোধন হয়।
‘নেটওয়ার্কিং কনফারেন্স অন ডিজিটাল জার্নালিজম এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
উপাচার্য বলেন, “ডিজিটাল সাংবাদিকতা আমাদের সুযোগ ও সম্ভাবনার দ্বার সম্প্রসারিত করবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে এটাই প্রত্যাশিত।”
আধুনিক প্রযুক্তির নেটওয়ার্কিং যাতে নেতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে না পারে এ বিষয়ে মিডিয়াকে সতর্ক থাকতে হবে বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।
তিনি বলেন, “আধুনিক বিশ্বে কী ঘটছে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কার বিশ্বকে কোন পথে পরিচালিত করছে সবকিছু জানতে এবং জানাতে আমাদের মিডিয়ার ইতিবাচক ভূমিকাসহ ডিজিটাল সাংবাদিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সৎ-দক্ষ-যোগ্য বিজ্ঞানমনষ্ক মানব সম্পদের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন চবি উপাচার্য।
সম্মেলনে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার প্রফেসর ড. গোলাম রহমান বলেন, “বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এই প্রযুক্তির সাথে তাল মেলাতে হলে আমাদের শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।”
এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা বাস্তবায়নেও আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে ডয়েচে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর প্রিয়া এসেলবোর্ন বলেন, “আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের সাথে কাজ করতে পেরে আনন্দিত।
“আমাদের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আধুনিক সাংবাদিকতা শিক্ষাকে উন্নত ও শক্তিশালী করা। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল নেটওয়ার্কিংসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি।”
সম্মেলনে পাঁচটি সেশনে বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার প্রায় ৫৩ জন শিক্ষক ও গবেষক।
বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্ল্যাহ এবং মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী।