বুধবার সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইলিয়াছ এ পক্ষীশালা উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ সাংবাদিকদের বলেন, “সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে এ এভিয়ারি। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য এখানে এসব পাখি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।”
এই চিড়িয়াখানাটির রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ আসে দর্শনার্থীদের কাছে বিক্রি করা টিকেট থেকে। চিড়িয়াখানা পরিচালনার জন্য সরকার থেকে কোনো অর্থায়ন হয় না বলে জানান ইলিয়াছ।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের একমাত্র চিড়িয়াখানা চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানা, যেখানে টিকিট বিক্রির টাকায় সব কিছু করা হয়। অভ্যন্তরীণ খরচ বাদে যে টাকা উদ্ধৃত থাকে তা দিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম করা হয়।”
প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এ পাখিশালায় খাঁচা নির্মাণে খরচ পড়েছে ২২ লাখ টাকা। আর ১০ লাখ ৪৫ টাকা খরচ হয়েছে পাখি সংগ্রহে।
ছয় প্রজাতির অন্তত ৩০০টি পাখি রয়েছে এখানে। এর মধ্যে লাভ বার্ড ৫০ জোড়া, লাফিং ডাভ ৫০ জোড়া, ফিজেন্ট বা ধনেশ পাখি ১০ জোড়া, রিংনেক প্যারট ১০ জোড়া, ঝুঁটিওয়ালা কাকাতুয়া বা ককাটিয়েল ৫০ জোড়া এবং এক জোড়া ম্যাকাও পাখি থাকবে।
পাঁচ প্রজাতির ২০০ পাখি বর্তমানে পক্ষীশালায় রাখা হলেও বৃহস্পতিবার ককাটিয়েল প্রজাতির ৫০ জোড়া পাখি অবমুক্ত করা হবে।
খাঁচায় বিভিন্ন গাছের সঙ্গে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে পাখির বাসা। যেখানে রোদ-বৃষ্টিতে পাখিগুলোর কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ।
তিনি বলেন, “পাখিগুলোকে খাঁচায় রাখা হলেও সেগুলো প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণ করবে এখানে। যেখানে প্রজনন থেকে শুরু করে সবকিছুই তারা প্রাকৃতিক পরিবেশে করবে।”
তিনি বলেন, “চিড়িয়াখানাটি দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাঘ, জেব্রা আনা হয়েছে। এবার তৈরি করা হলো বিদেশি পাখি নিয়ে এভিয়ারি।”
পর্যায়ক্রমে আরও নানা ধরনের পাখির সংখ্যা বাড়ানোর কথাও জানান রুহুল আমিন।
১৯৮৯ সালে চট্টগ্রামের ফয়’স লেক এলাকায় ছয় একর জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে।
আরো খবর