চট্টগ্রামে পোস্টার-ব্যানার সরাতে মাঠে নেমেছে ইসি

বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হওয়ার পর চট্টগ্রামে নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পোস্টার-ব্যানারসহ নানা প্রচার সামগ্রী অপসারণে নেমেছে নির্বাচন কমিশন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2018, 05:25 PM
Updated : 19 Nov 2018, 05:25 PM

সোমবার সকালে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সহায়তায় পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণের কাজ শুরু হয়।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলায় অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে। নগরীতে ১৬ জনের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

তবে সোমবার এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, কোর্ট বিল্ডিং, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, ইপিজেড, জামালখান এলাকায় চোখে পড়েছে অনেক পোস্টার।

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি সংসদীয় আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা না হলেও সরকার দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে আগাম প্রচারে মেতে উঠেছেন কয়েক মাস আগে থেকেই।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ১৮ নভেম্বর গভীর রাতের মধ্যে নিজ উদ্যোগে প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ শনিবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, রোববার মধ্যরাতের মধ্যে ব্যানার-ফেস্টুনসহ প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কিন্তু মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সে নির্দেশনা মানতে দেখা যায়নি।

বিভিন্ন স্থানে পোস্টার থাকার বিষয়ে জানানো হলে নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান বলেন, “অনেক বড় জেলা, দুই-এক জায়গায় থেকে যেতেও পারে। সুর্নিষ্ট কোনো অভিযোগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অপসারণ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ নির্বাচন কর্মকর্তা।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট রেখে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার এবং ভোটের আগে প্রায় ২০ দিনের আনুষ্ঠানিক প্রচারের সুযোগ রয়েছে প্রার্থীদের।