গ্রেপ্তার-হয়রানি: চট্টগ্রামে ইসিকে বিএনপির স্মারকলিপি

নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2018, 12:16 PM
Updated : 18 Nov 2018, 12:17 PM

রোববার চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে জেলা নির্বাচন কমিশনারের হাতে স্মারকলিপিটি তুলে দেওয়া হয়।  

চট্টগ্রাম নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম সাইফুল আলম স্বাক্ষরিত স্মাকলিপিতে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ছাড়া পাওয়া নেতাকর্মীদের কারা ফটকে পুনরায় গ্রেপ্তার করছে এবং জামিনে থাকা নেতাদের হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেনসহ দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের তালিকা তুলে ধরে স্মারকলিপিতে গত দুই মাসে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের ১৫ থানায় ১৪০টি মামলা হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় হওয়া মামলা ও গ্রেপ্তার দলীয় নেতাকর্মীদের নামের তালিকাও দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে।   

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, মনোনয়ন পত্র নেয়ার পরও কারাগারে আটক থাকায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম নগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ অনেকে নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারছেন না।

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তাদের মুক্তির দাবিও করা হয়।

এছাড়াও তফসিল ঘোষণার পরও ছাড়া পাওয়া ও মামলা ছাড়া নেতাদের নতুন নতুন মামলায় যুক্ত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় স্মারকলিপিতে।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত পতেঙ্গা থানায় ১৬টি, বন্দর থানায় ১২টি, ইপিজেড থানায় ১৫টি, খুলশী, পাহাড়তলী ও সদরঘাট থানায় নয়টি করে মামলা হয়েছে।

এছাড়াও হালিশহর, আকবর শাহ, চকবাজার থানায় পাঁচটি, কোতোয়ালী থানায় ১১টি, বাকলিয়া, বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ১০টি, চান্দগাঁও থানায় ১৩টি, পাঁচলাইশ থানায় সাতটি ও ডবলমুরিং থানায় চারটি করে মামলা হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।  

সেসব মামলায় দুই শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলেও দাবি বিএনপি নেতাদের।

কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সহ-সভাপতি আবদুস সাত্তার, নুরুল আলম রাজু, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী, সহ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলীসহ মহিলাদলের নেতারা এসময় উপস্থিতি ছিলেন।

নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পরে বলেন, “জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসেন খান স্মারকলিপিটি ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর পাশাপাশি সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।