প্রবাসীরা ভোটের সুযোগ পাচ্ছেন না এবারও

বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2018, 04:51 PM
Updated : 17 Nov 2018, 04:51 PM

শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর এস এস খালেদ সড়কে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

হেলালুদ্দীন বলেন, “কর্মশালায় প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি এসেছে। আমাদের আইনেও নেই। তারা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে এটা এখন অসম্ভব, কারণ আমাদের দেশে একযোগে ৩০০ আসনে নির্বাচন হয়।

“আমরা বিদেশে ভোটগ্রহণের যদি ইভিএম পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারতাম, তা হলে হয়ত সম্ভব হতো। তবে সেটাও এখন নয়।”

অনুষ্ঠান শেষে প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, প্রায় মাস ছয়েক আগে ঢাকায় এ বিষয়ে একটি সেমিনার হয়। সেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরাও ছিলেন।

“তারা বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমরা ভোটার করতে চাই। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনাও আছে। জাতীয় নির্বাচনের পর কোনো একটা দেশে যাব, যেখানে বাংলাদেশিরা আছেন। সেখানে একটা পাইলট প্রকল্প করব। তারপর পুরোটা বাস্তবায়ন করতে হবে।”

চট্টগ্রামের কোন কোন কেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার হবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, শহর এলাকায় হবে। তবে কোথায় তা নির্ধারণ হয়নি।

নয়াপল্টনের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের করা অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এ ঘটনায় প্রতিবেদন পাঠাতে আইজিপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

“আশা করি, আগামীকাল পাব। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

১৮ নভেম্বর মধ্যরাতের মধ্যে ব্যানার -ফেস্টুনসহ প্রচারণা সামগ্রী সরিয়ে ফেলা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সর্তক করেন নির্বাচন কমিশন সচিব।

এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, “নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই। ৩০ ডিসেম্বরই নির্বাচন হবে।”

নির্বাচনী প্রচারণায় মন্ত্রী-এমপিদের প্রটোকল পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মনোনয়ন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তারা যে প্রার্থী, এটা আমরা বলতে পারি না।

“এর আগে পর্যন্ত সরকারি কাজে, প্রকল্প পরিদর্শনে তারা সরকারি প্রটোকল ও প্রটেকশন পাবেন। এর পরে যখন প্রার্থী হবেন তখন সরকারি প্রটোকল, প্রটেকশন ও গাড়ি নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে অন্য এলাকায় প্রটোকল পাবেন।”

সেমিনারে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানু্জ্জামান, বেসরকারি সংস্থা ইলমা’র নির্বাহী প্রধান জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রামের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনডিপি ও ইউএনওমেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় ‘জেন্ডার অ্যান্ড ইলেকশন’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে।