শনিবার চট্টগ্রামের বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) ‘বিশ্ব ব্যাংক ও সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইডিইউ’র উপাচার্য সিকান্দার খান বলেন, “পদ্মা সেতু ইস্যুতে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির নিরসন করে সময়োপযোগী প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে হবে।”
পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে মতানৈক্য ঘটলেও তা পেরিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে সম্পর্ক এখন অনেক ভালো বলে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট ডাটা গ্রুপের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ উমর সিরাজুদ্দিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি টেকসই লক্ষ্যমাত্রা এবং তা অর্জনে বিশ্ব ব্যাংক কীভাবে কাজ করছে, তা তুলে ধরেন।
সিরাজুদ্দীন বলেন, “বিশ্ব ব্যাংক ২০৩০ সালের মধ্যে পুরো বিশ্বে দারিদ্র্যের হার তিন শতাংশে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে মাথাপিছু ৯০ ডলার আয়ের মধ্যে নিয়ে আসতে চাই আমরা।
“দারিদ্র্যের হার হ্রাসের দিক থেকে ১৯৯৬ হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও পাকিস্তানের সাফল্য উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে আফ্রিকার দেশগুলোতে হ্রাসের হার সবচেয়ে কম।”
এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন তিনি।
ইডিইউ’র অর্থনীতির প্রভাষক তাসমিম চৌধুরী বহ্নির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার অধ্যাপক সামস-উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, প্ল্যানিং এন্ড ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টার শাফায়েত কবির চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, প্রক্টর অনন্যা নন্দী প্রমুখ।