২০১৭-১৮ করবর্ষে চট্টগ্রাম বিভাগের সেরা করদাতাদের সম্মাননা দেওয়ার অনুষ্ঠানে তারা এই আহ্বান জানান।
সোমবার দুপুরে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০১৭-১৮ করবর্ষে সর্বোচ্চ করদাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন কাশেম খান বলেন, “কর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের যেমন কর্তব্য আছে পাশাপাশি সরকারেরও কিছু দায়িত্ব আছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজস্ব প্রয়োজন। তাই আমরা কর দিয়ে যাচ্ছি।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন আমরা ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে চাই। কর আদায়কারী সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের দূরত্ব কমেছে।
কর দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করা এবং করদাতা ব্যবসায়ীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে উৎসাহিত ও সম্মানিত করার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর সর্বোচ্চ করপ্রদানকারী এনজিএস সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজের অসিত কুমার সাহা বলেন, “একবার হয়তো জোর করে কর আদায় করা যায়, বারবার আদায় করা যায় না। যারা কর দেওয়ার যোগ্য তাদের আস্থায় নিয়ে কর আদায় করতে হবে। বোঝাতে হবে কর দেওয়া গর্ব ও সম্মানের বিষয়।”
“জনগণ কর দেয় বলেই দেশের বাজেটের আকার বাড়ছে। যার যা সুযোগ আছে তা দিয়ে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করতে হবে। গরিব দেশের নাগরিক হওয়া কোনো সম্মানের বিষয় নয়। কর দেওয়ার যোগ্য অনেকে কর দেন না। আশা করি, স্পষ্ট ধারণা পেলে অনেকে এগিয়ে আসবে। এতে সবাই উপকৃত হবে।”
চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর কর কমিশনার মো. মোতাহের হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনবিআর সদস্য রওশনা আরা আক্তার, কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ৩৯ জনকে সেরা করদাতা সম্মাননা দেওয়া হয়।