বক্কর-শামীম রিমান্ডে, আমীর খসরুকেও চায় পুলিশ

চট্টগ্রামে পুলিশ লাঞ্ছনার মামলায় বিএনপির দুই নেতা আবুল হাশেম বক্কর ও মাহবুবুর রহমান শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ; তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে হেফাজতে চেয়েও আদালতে আবেদন হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2018, 01:02 PM
Updated : 23 Oct 2018, 01:02 PM

তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় গত রোববার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. আকবর হোসেন মৃধা।

তাকে কারাগারে নেওয়ার সময় বিএনপি ও তাদের সমর্থক আইনজীবীরা কোতোয়ালি থানার ওসি ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ ওঠে।

ওই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বক্কর ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, চাকসুর সাবেক এজিএস শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই মামলায় সাত দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার তাদের আদালতে নেয় পুলিশ। অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ এক দির রিমান্ডের আদেশ দেন।

মাহবুবুর রহমান শামীম ও আবুল হাশেম বক্কর

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুনানিতে বলেছি, ঘটনার দিন আবুল হাশেম বক্কর ও মাহবুবুর রহমান শামীম সেখানে ছিলেন না। এরপরও আদালত রিমান্ডের অনুমতি দিয়েছেন।”

আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মামলাটি হয় নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের মধ্যে ফেইসবুকে আসা একটি অডিও ক্লিপ ঘিরে।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর গত ৪ অগাস্ট করা এই মামলায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতার অভিযোগ করেন।

আমীর খসরু কারাগারে যাওয়ার পর মঙ্গলবার তাকে হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করেছেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের এসআই সঞ্জয় গুহ।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কারাগারের পথে

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবউদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকেবলেন, তদন্ত কর্মকর্তা দুইদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন। বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করা হবে।

কী কারণে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যে ব্যক্তির সাথে কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ পেয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে হয়েছে কি না? সেটা ছাড়াও প্ররোচনা, নির্দেশদাতা ও উদ্দেশ্য জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।”

পাশাপাশি কোন মোবাইল ফোন ও সিম থেকে কথা বলা হয়েছে, সেটা বের করার কথাও উল্লেখ আছে রিমোন্ডের আবেদনে।