সোমবার সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের আয়োজনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ও নির্বাচন ২০১৮’ শীর্ষক ‘চট্টগ্রাম জাতীয় সংলাপে’ তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অনুপম সেন বলেন, “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হলে বাংলাদেশের অস্থিত্বও বিপন্ন হতে পারে।
“সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠির অভয়ারণ্য হবে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।”
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠি গড়ে তুলতে না পারলে বারে বারে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উত্থান ঘটবে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিএনপি-জামাত চক্রের ষড়যন্ত্র থেমে নেই।
“আগামী নির্বাচন ঘিরেও তাদের অশুভ তৎপরতা শুরু হয়েছে। যোকোন মূল্যে তা প্রতিরোধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।”
সূচনা বক্তব্যে ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব বলেন, এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য- নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক-সন্ত্রাসী অপশক্তিকে প্রত্যাখ্যান করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, “পৃথিবীর কোন দেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি বলে কেউ রাজনীতি করতে পারে না। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য বাংলাদেশে আজ আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির সাথে লড়াই করতে হচ্ছে।”
আগামী জাতীয় সংসদে সরকার এবং বিরোধী দল দুটোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সংলাপে ফোরামের বিভাগীয় সদস্য সচিব বেদারুল আলম চৌধুরী, সহসভাপতি আনোয়ারুল আলম শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শাহাবুদ্দিন, বিএফইউজের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের কেন্দ্রীয় নারী কমিটির সভাপতি লায়লা হাসান বক্তব্য রাখেন।