চট্টগ্রামেও সমাবেশের অনুমতি দিতে সরকার বাধ্য হবে: বুলু

সরকার সিলেটের মত চট্টগ্রামেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে ‘বাধ্য হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2018, 02:50 PM
Updated : 22 Oct 2018, 02:50 PM

চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে ২৭ অক্টোবর এই সমাবেশ সামনে রেখে সোমবার বন্দরনগরীর নাসিমন ভবনে নগর বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক প্রস্তুতি সভায় বুলুর এ মন্তব্য আসে।

তিনি বলেন, “২৭ অক্টোবরের সমাবেশ অবশ্যই হবে। আমরা অনুমতি পাব। সিলেটেও শুরুতে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি।

“রিট করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। সরকার তড়িঘড়ি অনুমতি দিতে বাধ্য হয়। একইভাবে চট্টগ্রামেও সমাবেশের অনুমতি দিতে সরকার বাধ্য হবে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “সিলেটে যেভাবে সরকার সমাবেশের অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে, চট্টগ্রামেও হবে। কারণ সরকার বুঝতে পেরেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কতটা শক্তিশালী।”

বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, “বড় দল, ছোট দল এটা কথা নয়। কথা হচ্ছে, আমরা ঐক্য করেছি এবং এই ঐক্য আমরা ধরে রাখতে চাই। ঐক্য নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিক।”

বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, “আওয়ামী লীগ নির্বিঘ্নে আমাদের সমাবেশ করতে দেবে, এটা মনে করি না। এরপরও আমাদের কৌশলে যেভাবে পারি সমাবেশ সফল করতে হবে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, “মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছি। আশা করি সমাবেশের অনুমতিও পাব। এটা বৃহত্তর একটা জনসভায় পরিণত হবে।”

সভায় জেএসডির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম জিলানী চৌধুরী বলেন, “ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য ধরে রাখতে পারলে আগামী নির্বাচনে আড়াইশরও বেশি আসন আমরা পাব। এখন আমাদের উচিৎ- কে বড়, কে ছোট সেটা বিবেচনা না করে ঐক্যফ্রন্টকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”

বরকত উল্লাহ বুলু ২৭ অক্টোবরের সমাবেশে বিএনপির কোনো নেতার নামে ব্যানার দিতে সভায় নিষেধ করেন। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্যানার থাকতে পারবে বলে সভায় জানানো হয়।

সমাবেশে ব্যবহৃত ব্যানারের উপরে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ লেখা থাকবে বলে জোটের নেতারা জানান।

বিএনপি, গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, ন্যাপ (ভাসানী), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), কল্যাণ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। তবে জামায়াতে ইসলামীর কাউকে সেখানে দেখা যায়নি।