আইসিটি আইনের মামলায় আমীর খসরু কারাগারে

চট্টগ্রামে এক ছাত্রলীগ নেতার করা আইসিটি আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2018, 07:21 AM
Updated : 21 Oct 2018, 12:00 PM

রোববার খসরুর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা এই আদেশ দেন।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নওমী নামে একজনের সঙ্গে আমীর খসরুর কথিত ফোনালাপ ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর গত ৪ অগাস্ট কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (সংশোধিত ২০১৩/৫৭ (২) ধারা) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায়  দায়ের করা এ মামলায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্ন্তঘাতমূলক’ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং ‘উসকানি’ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় বিএনপি নেতা খসরুর বিরুদ্ধে।

মামলা হওয়ার পর খসরু হাই কোর্টে গেলে তাকে ছয় সপ্তাহের জামিন দেওয়া হয়। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে গত ৭ অগাস্ট তিনি চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন।

সেদিন শুনানি শেষে বিচারক আকবর হোসেন মৃধা তাকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন বলে খসরুর আইনজীবী মফিজুল হক ভুইয়া জানান। 

এর ধারাবাহিকতায় আমীর খসরু রোববার আদালতে হাজির হয়ে আবারও মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ সময় এর বিরোধিতা করেন।

গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সঞ্জয় গুহ আদালতে ফোনালাপের অডিওটি বাজিয়ে শোনান। পরে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আমীর খসরুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মফিজুল হক ভুইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলায় যে অডিওর কথা বলা হয়েছে তাতে বর্তমান সরকারকে উৎখাতের কোনো কথা ছিল না। আমরা আদালতকে তা অবহিত করে পুনরায় জামিনের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু বিচারক নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।”  

এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আমীর খসরুর জামিন বাতিলের পর বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে। মহানগর বিএনপির বর্তমান সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানসহ মহিলাদলের নেতাদেরও সেখানে দেখা যায়।